Category: ইন্টারনেট


একবার ভাবুন তো আমরা সব টিউনারগন যদি এক জায়গায় chat করি তাহলে কেমন হবে ? হ্যা , আমরা যদি ইচ্ছে করি তাহলেই সম্ভব ।

এখানে কোন log in আইডি+password লাগবে না . সব থেকে মজার ব্যাপার হল এখানে fake name থাকবে । কেউ ইচ্ছে করলে তার real name show করাতে পারবেন।

এখানে ক্লিক করুন সেই chatroom এ যেতে

ও ভাল কথা । আপনারা কে কখন থাকবেন chatroom এ তা বলে দিয়েন ।

ভাল থাকবেন ।অনেক ভাল । আল্লাহ হাফেজ।

প্রিয় ভাই বোন,

সময় এবং সুযোগ থাকায় আবার এলাম আপনাদের মাঝে ব্রাউজার এর খুটিনাটি নিয়ে। জনপ্রিয় ওপেন-সোর্স ব্রাউজার মোজিলা ফায়ারফক্স সাধারণ অবস্থাতেই অতুলনীয়। এর সাথে বিনামূল্যে প্রাপ্ত কিছু এ্যাড-অন যোগ করে একে আরো উন্নত ও বিভিন্ন কাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা যায়।

ফায়ারফক্স এর অভ্যন্তরে খুঁজে দেখলে এমন অনেক সুবিধা পাওয়া সম্ভব যা একে আরো দ্রুতগতিসম্পন্ন, আকর্ষণীয় ও সুবিধাজনক করে তুলবে। নিচে এমন কিছু সুবিধা তুলে ধরা হল…

১) পৃষ্ঠা দেখার জন্য অধিক স্থানঃ

ফায়ারফক্স এর আইকনসমূহকে(হোম, রিফ্রেশ ইত্যাদি) ক্ষুদ্রতর করলে ওয়েব পেজ দেখবার জন্যে অধিক জায়গা পাওয়া যায়। এ জন্যে ভিউ মেনু থেকে টুলবার সাবমেনুতে যান। এরপর কাস্টোমাইজ অপশনে ক্লিক করে “Use small icons” এর পাশের চেকবক্সে টিকচিহ্ন দিয়ে Ok করুন।

২) কীবোর্ড শর্টকাটঃ

ফায়ারফক্স এর কিছু কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ব্রাউজিংকে অনেক গতিশীল এবং সাচ্ছ্যন্দময় করে তোলা সম্ভব। এখানে কিছু জনপ্রিয় কী-বোর্ড শর্টকাট এবং এদের কাজ উল্লেখ করা হলঃ

  • Spacebar (পৃষ্ঠার নিচে গমন) (page down)
  • Shift-Spacebar (পৃষ্ঠার উপরে গমন) (page up)
  • Ctrl+F (খোঁজা) (find)
  • Alt-N (পরবর্তী মিল খোঁজা) (find next)
  • Ctrl+D (পৃষ্ঠা চিহ্নিত করা) (bookmark)
  • Ctrl+T (নতুন ট্যাব খোলা) (new tab)
  • Ctrl+K (সন্ধান বাক্সে গমন) (go to search box)
  • Ctrl+L (এ্যাড্রেস বারে গমন) (go to address bar)
  • Ctrl+= (লেখার আকার বড় করা) (increase text size)
  • Ctrl+- (লেখার আকার ছোট করা) (decrease text size)
  • Ctrl-W (ট্যাব বন্ধ করা) (close tab)
  • F5 (রিলোড) (reload)
  • Alt-Home (হোম পেইজে গমন) (go to home page)

৩) এ্যাড্রেসবারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডোমেইন নাম পূরণঃ

এটি আরেকটি কী-বোর্ড শর্টকাট। এটি সার্বিকভাবে তেমন পরিচিত নয় কিন্তু খুবই কার্যকরী। প্রথমে আপনার এ্যাড্রেস বারে যেকোন সাইটের মাঝের অংশটি টাইপ করুন(“www” এবং ”.com” বাদ দিয়ে)। এবার Ctrl চেপে ধরে রেখে enter চাপুন। দেখবেন যে “www” এবং “.com” স্বয়ংক্রিয় ভাবে বসে গিয়েছে এবং পেজ লোড শুরু হয়েছে! :thumb: একইভাবে “.net” ডোমেইনের ঠিকানার ক্ষেত্রে Shift+enter এবং “.org” ডোমেইনের ঠিকানার ক্ষেত্রে Ctrl+Shift+Enter চাপতে হবে।
(এই ট্রিকটি ফায়ারফক্স ছাড়াও অন্যান্য ব্রাউজারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য)

৪) ট্যাব পরিবর্তনঃ

ট্যাব পরিবর্তনে মাউস দিয়ে সিলেক্ট করার বিকল্প হিসাবে কিছু কী-বোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করা যায়। শর্টকাটগুলো হলঃ

  • Ctrl+Tab (পরবর্তী ট্যাবে গমন) (rotate forward among tabs)
  • Ctrl+Shft+Tab (পূর্ববর্তী ট্যাবে গমন) (rotate to the previous tab)
  • Ctrl+1-9 (একটি অংকের সাহায্যে নির্দিষ্ট ট্যাবে গমন) (choose a number to jump to a specific tab)

৫) দ্রুততর ফায়ারফক্সঃ

আপনি যদি ব্রডব্যান্ড কানেকশন ব্যবহার করেন তাহলে পাইপলাইনিং এর সাহায্যে পেজ লোড টাইম কমিয়ে আনা সম্ভব। এর সাহায্যে ফায়ারফক্স-এ একই সাথে একাধিক উপাদান(ছবি,শব্দ ইত্যাদি) লোড করা যায়। ব্রডব্যান্ড কানেকশনের জন্য এভাবে পাইলাইনিং সেটিং ঠিক করে নিনঃ

  • এ্যাড্রেস বারে about:config টাইপ করুন এবং এন্টার চাপুন।
  • ফিল্টার বক্সে “network.http” টাইপ করুন, এবং নিচের সেটিংসমূহ পরিবর্তন করুন(কোন সেটিং পরিবর্তনের জন্য সেটিতে ডাবল ক্লিক করুন)……
  • ”network.http.pipelining” এর সেটিং দিন “true”
  • network.http.proxy.pipelining” এর সেটিং দিন “true”
  • ”network.http.pipelining.maxrequest” এ ডাবল ক্লিক করে “30” সেট করুন (ব্যবহারকারী নিজ সুবিধামত ও ইন্টারনেট সংযোগের গতি অনুযায়ী এই মান বাড়িয়ে/কমিয়ে নিতে পারেন)
  • সেইসাথে, যেকোন স্থানে রাইট ক্লিক করে New- > Integer.Name নির্বাচন করুন। এর নাম দিন “nglayout.initialpaint.delay” এবং এর ভ্যালু সেট করুন “0” এই ভ্যালু হচ্ছে যতটুকু সময় পর্যন্ত ব্রাউজার প্রাপ্ত কোন তথ্য প্রদর্শনের জন্য অপেক্ষা করে।

৬) বুকমার্কে কী-ওয়ার্ড সংযোজনঃ

বুকমার্কের সাথে কী-ওয়ার্ড সংযোজনের মাধ্যমে অধিক দ্রুততার সাথে বুকমার্ককৃত সাইটসমূহ পরিদর্শন করা সম্ভব। যেকোন বুকমার্কে রাইট ক্লিক করে প্রোপারটিজ –এ ক্লিক করুন। এরপর কী-ওয়ার্ড বক্সে একটি ছোট কী-ওয়ার্ড বসিয়ে সংরক্ষণ করুন। এখন এ্যাড্রেস বারে ওই কী-ওয়ার্ডটি টাইপ করে এন্টার চাপলেই বুকমার্ককৃত সাইটটি প্রদর্শিত হবে।

৮) এ্যাবাউট.কনফিগ(about.config):

এটি অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী একটি টুল। পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ব্যতীত এই টুল ব্যবহার করা উচিৎ নয়, কারণ এই টুলের ভুল ব্যবহার আপনার নেট সংযোগ ও ব্রাউজারের ক্ষতি করতে পারে। ফায়ারফক্স এর এ্যাড্রেস বারে “about:config” টাইপ করে এন্টার চাপলে এবাউট.কনফিগ স্ক্রিনটি প্রদর্শিত হবে।

ভাল লাগলে আশা করি কমেন্ট করবেন ।। আল্লাহ হাফেজ

note : ফ্রী প্রোগ্রামিং কোড পেতে চাইলে আমার প্রোগ্রামিং ওয়েবসাইট এ ক্লিক করুন http://simantoromel.ucoz.com

বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব লণীয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রায়ই নিজের অজান্তে বিভিন্ন বিপজ্জনক কাজ করে থাকেন। আর যার ফলাফলÑ ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার এটাক, স্প্যাম, প্রাইডেসি নষ্টসহ বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হওয়া। যা ভয়ঙ্কর সব পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। এসব কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত যে কারও। এমনই

কয়েকটি বিপজ্জনক কাজের উলেখ করা হল

১। অপরিচিত মেইলের সঙ্গে আসা লিঙ্ক সাইটে প্রবেশ করা।

২। বিভিন্ন সাইট থেকে আনভেরিফাইড বা আন অথরাইজড সফটওয়্যার ইন্সটল করা।

৩। মেইলে লটারির মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের টাকা বিজয়ের কথা বলে সেই টাকা হস্তান্তরের জন্য খরচের টাকা পাঠানো বা কোন ফরম পূরণ করা।

৪। বিভিন্ন পর্ন বা ইলিগ্যাল সাইটে বারবার প্রবেশ করা।

৫। অযাচিত বিভিন্ন সাইটে লোভনীয় সব অফারে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করা।

৬। ব্রাউজার, ম্যাসেঞ্জার কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে পাসওয়ার্ড, ব্যক্তিগত তথ্য ইত্যাদি প্রদান করা।

৭। বিভিন্ন হ্যাকিং সাইট, জুয়ার সাইটে চ্যাট করার ফাইল শেয়ার করা।

৮। না বুঝে এইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভা বা অন্য কোন প্রোগ্রামিং ফাইল ওপেন করা।

৯। অনিরাপদ ওয়্যারলেস সংযোগের মাধ্যমে অনলাইনে যুক্ত হওয়া।

১০। অপিরিচিত মেইলের এটাচড ফাইল ওপেন করা। সেটা ইমেজ, ওয়ার্ড, মিউজিক বা পেইন টেক্সট ফাইলও হতে পারে। সিকিউরিটি টুলস বা ফায়ার ওয়্যাল ডিজেবল রাখা।